বন্ধুরা আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন,  অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া  নিয়ে নানা জটিলতা, জল্পনা-কল্পনা রয়েছে অনেকের মনেই, কিভাবে যাব? কোন দেশে যাব?  কি কি প্রয়োজন? আদলে এটাকি সম্ভব? কি সম্ভব না, তাই এমনই পাঁচটি দেশকে নিয়ে এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে । যে পাঁচটি দেশে সহজেই ভিসা পাওয়া যায়, তাই বিস্তারিত রয়েছে এই ভিডিওটিতে, না টেনে দেখতে থাকুন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ।  অনেকেই হয়তো জানেন না পৃথিবীতে এমন বেশ কিছু দেশ আছে, যেখানে নাগরিকত্ব লাভ করা তেমন কঠিন নয়, এসব গ্রহণ করার জন্য শুধু প্রয়োজন প্রক্রিয়া, কি ধরনের জটিলতা রয়েছে তা বিস্তারিত দেখুন এই এই ব্লগটিতে

উরুগুয়ে

দক্ষিণ আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ উরুগুয়ে, দেশটিতে খুবই অল্পসংখ্যক মানুষ বসবাস করেন।  এখানকার মানুষেরা যথেষ্ট বন্ধুসুলভ, এর মাধ্যমে যে কেউ সহজে দেশটিতে যেতে পারবেন,এবং এই দেশটিতে অভিবাসী হিসেবে নাগরিকত্ব পেতে চাইলে শুধুমাত্র প্রয়োজন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এখানে নাগরিকদের জন্য কমপক্ষে পাঁচ বছর বসবাস করতে হবে, তবে বিয়ে করলে তিন বছর, এবং পাঁচ বছর বসবাস থাকতে হবে, এরপর দেশটিতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে, আবেদন এর জন্য এখানে

6 টি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।

1. স্থায়ী অভিবাসনের জন্য উরুগুয়ে সরকারকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

2. সঠিক জন্ম সনদ দিতে হবে, যে কাগজপত্রাদি সরকার গ্রহণ করবেন।

3. যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে বিয়ের সমস্ত কাগজপত্র দিতে হবে।

4. নির্ভরযোগ্য মাসিক আয় দেখাতে হবে এবং আইয়ের হিসাবে দেখাতে হবে।

5. মেডিকেল সনদ দিতে হবে।

6. বৈধ উরুগুয়ের ঠিকানা দিতে হবে।

এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে এক থেকে দুই বছরের মধ্যে উরুগুয়ের নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।

ইকুয়েডর

দক্ষিণ আমেরিকার আরও একটি দেশ ইকুয়েডর, দেশটিতে জীবনযাত্রার মান খুবই সুলভ এবং মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয় মার্কিন ডলার। এখানকার অধিবাসী হতে হলে 800$ থেকে 1000$ ডলার প্রতি মাসে ইনকাম থাকতে হবে, এবং বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। এরপরও প্রতিমাসে অতিরিক্ত 100$ ডলার আই দেখাতে হবে যা আপনার নির্ভরযোগ্যতার জন্য। এটি মূলত পেনশন ভিসার অধীনে পড়ে। তবে এদেশের সরকার যাচাই করে না যে, আপনি পেনশন ভিসা নিচ্ছেন কিনা। পেনশন ভিসা পাওয়ার 21 মাস পর এখানে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়। ইকুয়েডরে নাগরিকত্ব পেতে হলে চারটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।

1. অন্তত তিন বছর ইকুয়েডরে বসবাস করতে হবে।

2. ইকুয়েডর সরকার কর্তৃক যাচাইকৃত জন্মসনদ থাকতে হবে।

3. ইকুয়েডরে বসবাসরত আবাসটি দেশটির সরকার কর্তৃক যাচাই করে সঠিক কাগজপত্র দিতে হবে।

4. নাগরিকত্ব পেতে সাক্ষাতকার দিতে হবে, এবং সেখানে পাস করতে হবে।

আর্জেন্টিনা

দক্ষিণ আমেরিকার একটি পরিচিত দেশ আর্জেন্টিনা । দেশটিতে অল্পসংখ্যক মানুষ বসবাস করে, এই দেশটির অভিবাসী হতে চাইলে, আপনার প্রতি মাসে $850 ডলারের উপর আয়ের উৎস থাকতে হবে। এবং তার বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। আর এখানে নাগরিকত্ব পেতে হলে কমপক্ষে দুই বছর বসবাস করতে হবে । এই দুই বছর বসবাসের পর উপযুক্ত কাগজপত্র আর্জেন্টিনা সরকারের কাছে জমা দিতে হবে। যে সমস্ত কাগজ গুলো জমা দিতে হবে। 

1. যাচাইকৃত জন্ম সনদ প্রয়োজন হবে।

2. পূর্বে বসবাসরত দেশের প্রমাণ দিতে হবে।

3. ব্যক্তিকে শনাক্ত করার মত সব ধরনের নথি দিতে হবে।

4. আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সব ধরনের নথি যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট নগদ অর্থের হিসাব সম্পদের হিসাব দিতে হবে।

ব্রাজিল

সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ এবং জনসংখ্যা অধিক,

এই দেশে অভিবাসী হতে চাইলে আপনার মাসিক আয় 2000$ এরও বেশি থাকতে হবে। এখানে দুজন কে সঙ্গে নিয়ে থাকা যাবে। তবে তাদের প্রত্যেকের জন্য মাসে আরো 1000 ডলার করে অতিরিক্ত দেখাতে হবে ।এখানে সহজে নাগরিকত্ব পেতে হলে একজন ব্রাজিলিয়ান কে বিয়ে করতে হবে,

এবং তার থেকে পিতামহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তা না হলে আপনাকে কোন বিজ্ঞানী হতে হবে, গবেষক হতে হবে, অথবা উচ্চ আয়ের এর মানুষ হতে হবে। উচ্চ আয়ের  বলতে আপনাকে ব্রাজিলে প্রায় 45000$ হাজার ডলার বিনিয়োগ করতে হবে,

এ ধরনের মানুষ ব্রাজিলে সহজে নাগরিকত্ব পান,এছাড়াও 15 বছর বসবাস করার পরে যে কেউ এখানে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে, আরো সুযোগ সুবিধা আপনি যদি সেখানে একটা চাকরি ম্যানেজ করতে পারেন। এবং ভালো ইনকাম সোর্স দেখাতে পারেন। সেটা আপনার জন্য পরবর্তীতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য খুবই সহায়ক হবে।

পানামা

পানামাতে খুব সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব, বিশেষ করে কেউ যদি আমেরিকান হয়ে থাকেন তার জন্য আরও সহজ, কারণ দেশটি আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্র। পানামা দীর্ঘসময়ের জন্য অবসর ভিসা দিয়ে থাকে। তবে এজন্য আপনাকে অবশ্যই প্রতিমাসে মাসিক আয় এক হাজার ডলার দেখাতে হবে।

 আর তরুণরা এই দেশের অধিবাসী হতে চাইলে $5000 জমা দিতে হবে। এরপর দেশটি আপনাকে ভিসা প্রদান করবে। আপনারা পানামারা নাগরিকত্ব পেতে চাইলে দেশটিতে পাঁচ বছর বসবাস করতে হবে। এরপর দেশটিতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে পানামা দেশটি একই সাথে দুটি দেশের নাগরিকত্ব দেয় না, তাই এই দেশের নাগরিকত্ব পেতে চাইলে আপনার নিজ দেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করতে হবে।

তাহলে বন্ধুরা আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি, নিয়মিত চ্যানেলটির আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন। ভিডিওটি কেমন লাগলো দেখে লাইক কমেন্ট এ লিখে জানাবেন এবং বন্ধুবান্ধবদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ সবাইকে ভিডিওটি দেখার জন্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here