✅ ভিসা কি?
ভিসা একটি অনুমতি পত্র যা একটি দেশ কোন বিদেশী নাগরিককে ঐ দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য অনুমতি দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া অন্য দেশে প্রবেশ ও অবস্থান অবৈধ অভিবাসন হিসাবে পরিগণিত।

✅ সাধারণত: পাসপোট বা ট্রাভেল পারমিটের কোন একটি পাতায় লিখে অথবা সীল দিয়ে বা স্টিকার লাগিয়ে ভিসা প্রদান করা হয়। দেশের বিদেশস্থল দূতাবাসগুলি ভিসা দিয়ে থাকেন।
✅ সাধারণত: ভিসা প্রদানের জন্য দূতাবাসে কনস্যুলার শাখা থাকে।
✅ ভিসার মেয়াদ কত দিনের হয়?
✅ ভিসার মেয়াদ: ভিসা একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য দেয়া হয়।
✅ প্রথমত: ভিসা প্রদানের পর সর্বশেষ কোন তারিখের মধ্যে ঐ দেশে প্রবেশ করা যাবে তা ভিসায় উল্লিখিত থাকে অপর দিকে বৈধ পদ্ধতিতে ভিসা নিয়ে প্রবেশের পর কত দিন পর্যন্ত বিদেশে অবস্থান করা যাবে তার মেয়াদও ভিসায় উল্লিখিত থাকে। এছাড়া একটি ভিসা একবার প্রবেশ, দুই বার প্রবেশ বা বহুবার প্রবেশের জন্যও দেয়া হতে পারে সেটিও উল্লেখ থাকে।
✅ ভিসা কত প্রকার হয়?
ভিসার অনেক ধরনের প্রকারভেদ এর মধ্যে কিছু প্রকারভেদ সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য গুলি তুলে ধরা হলো হলো।
যেমন:
1. স্টুডেন্ট ভিসা
2. কর্ম ভিসা
3. ব্যবসায়িক ভিসা
4. পর্যটন ভিসা
5. সাংবাদিক ভিসা
সহ আরো অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে। তাহলে তো জনপ্রিয় কিছু ভিসার নাম সম্পর্কে জানলেন চলেন এবার জেনে নেওয়া যাক সেই সকল ভিসা সম্পর্কে কিছু তথ্য –
✅ ভ্রমণ ভিসাঃ
কোন দেশ ভ্রমণ করার জন্য যে ভিসার আবেদন করা হয়ে থাকে সেই ভিসা কেই বলা হয়ে থাকে টুরিস্ট ভিসা বা ভ্রমণ ভিসা। যারা বিদেশ ভ্রমণ করতে চান তারা অনেক ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন।
✅ ব্যবসায়িক ভিসাঃ
ব্যবসায়িক বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য। বিশেষ করে যাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের বড় প্রজেক্ট এর কাজে জন্য বিভিন্ন সময় বিদেশে যেতে হয়। তাদের জন্য এই ভিসাটি প্রযোজ্য।
✅ স্টুডেন্ট ভিসাঃ
স্টুডেন্ট ভিসা হচ্ছে খুবই জনপ্রিয় একটি ভিসা। সাধারণত বিদেশে যখন ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার জন্য তাদের জন্যই এই স্টুডেন্ট ভিসাটি হয়ে থাকে । অনেকে স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে বিদেশে গিয়ে কাজ করার মাধ্যমে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে থাকেন।
✅ মেডিকেল ভিসাঃ
যারা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেয়ে থাকেন তাদের জন্য মেডিকেল ভিসার প্রয়োজন হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে যেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় সেটি হচ্ছে মেডিকেল ভিসা।
✅ ইমিগ্রান্ট ও নন ইমিগ্রান্ট ভিসাঃ
যারা স্থায়ীভাবে কোন দেশে বসবাস করার জন্য ইচ্ছুক, তাকেই ইমিগ্রেশন ভিসা বলা হয়। এই ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়, এবং যারা নির্দিষ্ট কিছু সময় বা খুব কম সময়ের মধ্যে বাইরের কোন দেশ ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য সাধারণত নন ইমিগ্রান্ট ভিসা দেওয়া হয়।
✅ ট্রানজিট ভিসাঃ
সাধারণত এই ভিসাটা দেওয়া হয়ে থাকে খুব কম সময়ের জন্য। যখন এক দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে যাওয়ার সময় তৃতীয় কোন দেশ থেকে ভ্রমণ করতে হয় তখন এই ভিসা দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এই ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে । এবং সে দেশে অবস্থান করা যেতে পারে ।
এছাড়াও রয়েছে ওয়ার্ক ভিসা/এমপ্লয়মেন্ট ভিসা, ইনভেস্টর ভিসা, অন-এরাইভাল ভিসা, স্কুলিং ভিসা, ফ্রিল্যান্সার ভিসা, ডিপ্লোমেট ভিসা, ভিসা এক্সটেনশন ইত্যাদি.
ভিসা সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য ও আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন!
সাবস্ক্রাইব করুন Youtube ও নোটিফিকেশন অন করুন নতুন আপডেট পেতে।
আপনার ভ্রমণ, পড়াশোনা বা ব্যবসায়িক ভিসার প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান!
সহজ ও নির্ভরযোগ্য ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চোখ রাখুন আমাদের পরবর্তী ভিডিওতে! Aholidaytour
#ভিসা_তথ্য #বাংলাদেশি_পাসপোর্ট #ইমিগ্রেশন #ট্রাভেল_গাইড #স্টুডেন্ট_ভিসা #পর্যটনভিসা #ভারতীয়_ভিসা #ভিসা_নিয়ম #ভ্রমণ_পরিকল্পনা #VisaGuideBD