৩০ বছর পর দেখা যাচ্ছে হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য!
৩০ বছর পর দেখা যাচ্ছে হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য!

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে স্তব্ধ পুরো বিশ্ব। লকাডাউনের কারণে কমেছে বায়ু দূষণ। ফলে আশেপাশের অঞ্চলে যারা বাস করছেন তারা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ এই পর্বত হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে পারছেন।

দূষণের আড়ালে তিন দশক ধরে লুকিয়ে থাকার অবশেষে উঁকি দিয়েছে উঠেছে হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য বরফে আচ্ছন্ন চূড়া। অপার্থিব এই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ আশেপাশের অঞ্চলের বাসিন্দারা। দূর থেকে বরফের আচ্ছন্ন হিমালয় পাহাড়ের অপার এই সৌন্দর্যকে প্রশংসা না করে পারা যায় না।

করোনাভাইরাস যেন প্রকৃতির জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে। লকডাউনে মানুষ ঘরবন্দী হওয়ায় কমে গেছে পরিবেশ দূষণ। নদী-সমূদ্রের পানি হয়েছে নির্মল-নীল, গাছ-গাছালি যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বাতাস হয়ে উঠেছে নির্মল-প্রাণজুড়ানো। পরিবেশের দূষণ কমে যাওয়ার ফলে আশ্চর্যজনকভাবে তিন দশক পরে ভারতে বসেই দেশটির অধিবাসীরা খালি চোখে দেখতে পাচ্ছেন হিমালয়ের চূড়া। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের জালান্দর জেলার বাসিন্দারা ১২৫ মাইল দূর থেকেও খালি চোখে দেখতে পাচ্ছেন বরাফাচ্ছাদিত হিমালয় পর্বত!

হিমালয়ের সেই ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও পোস্ট করছেন জালান্দরের মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৩০ বছর পর এভাবে তারা সরাসরি হিমালয় দেখতে পেলেন।

মানুষের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে পর্যায়ক্রমে পরিবেশ দূষণও বেড়ে গেছে। বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে দূর থেকে আর হিমালয় পর্বত দেখা যায়নি। কিন্তু করোনার প্রভাবে পরিবেশ দূষণ কমে যাওয়ায়, বাতাসে ভারি পদার্থের ঘনত্বও কমে গেছে। যার ফলে খালি চোখেও অনেক দুর দেখা সম্ভব হচ্ছে।

ভারত এমনিতেই বায়ু দূষণপ্রবন একটি দেশ। এখানকার ১৪০ কোটি মানুষ মারাত্মক দূষণের শিকার। ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্টের সূচকে গত বছরও সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে ভারতের নাম ছিল উপরের দিকে। দিল্লিসহ উত্তর ভারতে বায়ু দূষণের কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছিল গত কয়েক বছর ধরে। করোনার কারণে ২১ দিনের লকডাউন চলছে পুরো ভারতজুড়ে। এই সুযোগই দূষণ সরে যাওয়ায় সেই পরিবেশ বিপর্যয় থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা মিলেছে ভারতবাসীর।

করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বই আজ স্তব্ধ, ঘরে বন্দি মানুষ। তবুও প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। আক্রান্ত বাড়ছে প্রতি মিনিটে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে মারণ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ মানুষ। মৃত্যুবরণ করেছে ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ। এ কারণেই দেশে দেশে এখন চলছে লকডাউন-কোয়ারেন্টিন। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই করোনা যেন আশির্বাদ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে এই বিশ্ব প্রকৃতির জন্য। সূত্র- মালায়া মেইল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here