কর্মব্যস্তময় জীবনের চাহিদা পূরণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তাই আপনার এই ক্লান্তিময় অবসর সময় কে নিরিবিলি কাটিয়ে আসতে পারেন, ঢাকার নিকটবর্তী এবং সুদূরবর্তী রিসোর্ট গুলো থেকে,
যেখানে গেলে আপনার মনের ক্লান্তি দূর হবে, তাই নির্বিঘ্নে ঘুরে আসতে পারেন নিচের এই রিসোর্ট গুলো থেকে যা আপনার মানসিক ক্লান্তি দূর করবে ,
তাই আমি বলব মানুষের জীবনে অর্থের যেমন প্রয়োজন রয়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে মানসিক ক্লান্তিদূর করনের ও বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে, কারণ আপনার মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে আপনার চলমান জীবন|
তাই এ হলিডে টুর এর পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের ব্লক|ঢাকার আশেপাশের সেরা দর্শনীয় স্থানগুলি কি? কি? কোথায় অবস্থিত?কিভাবে যাবেন? সেখানে প্রবেশ মূল্য কত? সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় রয়েছে এই ব্লগটিতে|
স্প্রিং ভ্যালি রিসোর্ট গাজীপুর
গাজীপুরে নির্মিত হয়েছে স্প্রিং ভ্যালি রিসোর্ট, রিসোর্টটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নির্মিত হয়েছে |একদিনের জন্য পরিবারের সাথে বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘুরে আসতে পারেন এই স্প্রিং ভ্যালি রিসোর্ট টিতে | উপভোগ করতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেকে,
এই রিসোর্টে বিয়ের পর হানিমুনের চিন্তা ও করতে পারেন, এখানে রয়েছে একটি বিশাল সুইমিং পুল এবং আর ও অন্যআন্য প্যাকেজ সমূহ উপভোগ করতে পারবেন, এখানে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য রয়েছে খেলার ব্যবস্থা বিশাল খেলার মাঠ, এবং পুকুরে নৌকায় চড়ে ও সারাদিন কাটিয়ে দিতে পারেন আপনার ক্লান্তিময় মুহূর্ত গুলোকে|
এখানে প্রতি জনের প্রবেশ মূল্য ১৫00/= টাকা
রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট
ঢাকা শহরের নিকটবর্তী গাজীপুরে অবস্থিত এই রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে শালবনের ভেতরে প্রায় ৮০ বিঘা জমির ওপর যৌথভাবে নির্মিত হয়েছে এই ইকো রিসোর্টটি, প্রকৃতিতে সাজানো গোছান ছায়া ঘেরা যা আপনার মনের ক্লান্তি ঘোচাতে সহায়ক হবে,
কারণ এটি সম্পূর্ণ বনের মধ্যে নির্মিত হয়েছে | এর অন্যতম আকর্ষণ হলো এর উপর নির্মিত অপরূপ সৌন্দর্যে নির্মিত ঝুলন্ত বেলকুনিতে খোদাই করা বিভিন্ন কারুকার্য আগত দর্শনার্থীদের যা মুগ্ধ করবে|
পথ নির্দেশিকা:
সেখানে কিভাবে যাবেন? যারা ঢাকা থেকে যাবেন তারা গাজীপুর চৌরাস্তা পারহয়ে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এর বিপরীত দিকের বড় সড়ক ধরে প্রবেশ করবেন এই গহীন অরণ্যে,
এইবার হারানোর পালা ভবানীপুর বাজারের পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে 3.9 কিলোমিটার দূরে গেলেই দেখা মিলবে এই রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টটি, আপনি চাইলে সেখানে যাওয়ার আগেই আপনার রিসোর্টটি বুকিং করে নিতে পারেন
ভ্রমণ প্যাকেজ:
রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টটিতে সারাদিন অবস্থান করলে প্রতি একটি রুমের ভাড়া পড়বে তিন হাজার টাকা এর মধ্যে রয়েছে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার নাস্তা,
এবং দুজনের জন্য চার হাজার টাকা, কেউ যদি রাতে অবস্থান করতে চান তাহলে একজনের জন্য চার হাজার টাকা, সাথে থাকছে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, রাতের খাবার, এবং দুজনের জন্য ছয় হাজার টাকা|যোগাযোগের জন্য কল করতে পারেন ০১৯১৯৩১৮০০৯, ০৯৬৮৯১১১৯৯৯
পদ্মা রিসোর্ট
এটির অবস্থান ঢাকার নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জ থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত| এই পদ্মা রিসোর্টটি যা নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে দিঘীরপাড় পরিবহন করে মুক্তারপুর ব্রিজে নামতে হবে, সেখান থেকে সিএনজি করে সরাসরি আপনি চলে যেতে পারবেন| জনপ্রতি ভাড়া নেন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, যেতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘন্টা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রহস্যেঘেরা এ রিসোর্টে সেখানে গেলে মনে হবে কোন এক গ্রাম বাংলায় প্রবেশ করেছেন, যা গ্রাম বাংলার সম্পূর্ণ সান্নিধ্য মিলে যায় কি ভাবতেই অবাক লাগবে এই গ্রাম বাংলার পুরনো স্মৃতিগুলো যান্ত্রিক শহরে এখনো খুঁজে পাবেন সেখানে|
ভ্রমণ প্রেমিকদের জন্য ভ্রমণ ক্ষেত্রে যারা নদী ও সমুদ্র দেখতে ভালোবাসেন এবং নিলচে পানির সাথে কথা বলতে চান প্রাণ খুলে হাসতে চান তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ স্থান|
ভ্রমণ প্যাকেজ:
এই রিসোর্টটি প্রতিদিন সকাল 10 টা থেকে সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত চালু থাকে| এই রিসোর্টটিতে যদি শুধু দিনের বেলা ভাড়া করতে চান তাহলে সকাল 10 টা থেকে সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত থাকতে পারবেন|
এবং সে ক্ষেত্রে ভাড়া লাগবে 2300 টাকা আর যদি দিন সহ রাত ও কাটাতে চান তাহলে ভাড়া লাগবে তিন হাজার চারশত টাকা এখানে ষোলটি কটেজ রয়েছে,
এই কটেজগুই মূল আকর্ষণ, এই জায়গার নদীর পাড় ঘেষে গড়ে ওঠা কটেজগুলোতে বেশ আরামদায়ক এবং নিরিবিলি সময় কাটাতে পারবেন নির্বিঘ্নে যা আপনারা ক্লান্তিময় মুহূর্তগুলোকে নিবারণে সহায়ক হবে|বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই নম্বরে: ০১৭১২১৭০৩৩০, ০১৬৮৯৭৭৭৪৪৪
নক্ষত্রবাড়ী রিসোর্ট, গাজীপুর, ঢাকা।
ঢাকার নিকটবর্তী গাজীপুরে অবস্থিত বেসরকারি রিসোর্ট গুলোর মধ্যে অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত| গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজবাড়ি এলকায় শিল্পীদম্পতি তৌকির-বিপাশা গড়ে তুলেছেন নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। প্রায় ২৫ বিঘার জায়গাজুড়ে তৈরি এই অবসর যাপনকেন্দ্রে আছে দিঘি, কৃত্রিম ঝরনা, সভাকক্ষ, সুইমিংপুলসহ নানান সুবিধা।
নক্ষত্রবাড়ী প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও অতি জনপ্রিয় নাম। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, পুকুরের পানির ওপর কাঠ-বাঁশের সমন্বয়ে নির্মিত ১১টি কটেজ। যার বারান্দায় বসে রাতের জোছনা বা পূর্ণিমা দেখা যায়। শুধু তাই নয়, প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে, অতি সৌন্দর্যের কটেজ এগুলো।
এখানে বসে শোনা যায় ব্যাঙের ডাক, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, জোনাকির আলো ছড়ানো টিপ টিপ বাতি জ্বলা-নিভা। পুকুরের পশ্চিম পাশের পানির ওপর গজারী গাছ দিয়ে নির্মিত এসব কটেজ। কটেজ গুলোর ওপর রয়েছে ছনের ছাউনি।
পুকুরের পূর্ব পাশে ব্রিটিশ আমলের দরজা-জানালা সংবলিত একটি ঘর রয়েছে। একটু পুবে রয়েছে সুইমিং পুল। রয়েছে আরও একটি বিল্ডিং কটেজ। রয়েছে একটি কনফারেন্স রুম ও খাবার হোটেল।
আর এই হোটেলে রয়েছে বাংলা, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান, থাই, কন্টিনেন্টাল খাবার। এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি রয়েছে। এখানে সার্বক্ষণিক ৪০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।ভাড়া
পানির ওপর কটেজগুলো ২৪ ঘণ্টার ভাড়া ১০ হাজার ৭৫২ টাকা। বিল্ডিং কটেজের ভাড়া কাপড়বেড ৮ হাজার ২২২ টাকা এবং টু-ইন বেড ৬ হাজার ৯৫৮ টাকা। দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০০ টাকা। যোগাযোগ ফোন নাম্বারঃ ০২-৯৮৩৫১৭৩, ০১১৯২১৫০৫৬৩,
নুহাশপল্লী
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক কবি নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বাগানবাড়ি স্পট নুহাশ পল্লী ১৯৮৭ সালে ২২ বিঘা জমির উপর স্থাপিত নুহাশপল্লীর বর্তমান আয়তন প্রায় ৪০ বিঘা। অভিনেতা ডাঃ ইজাজ এখানকার জমিটি কিনতে সহায়তা করেন। হুমায়ুন আহমেদ এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদের একমাত্র পুত্র নুহাশের নামে নুহাশপল্লীর নামকরণ করা হয়েছে।
নুহাশপল্লীতে ঘুরে দেখার জন্য অনেক কিছুই রয়েছে যেমনঃ
১। গ্রামের বিশাল সবুজ মাঠ।
২। প্রায় ২৫০ প্রজাতির গাছ।
৩। হুমায়ুন আহমেদের কটেজ, ট্রিহাউজ, দাবা খেলার এবং নামাজপড়ার কক্ষ।
৪। ডিম্বাকৃতির সুইমিংপুল।
৫। টিনশেডের বিশাল বারান্দাসহ ‘বৃষ্টিবিলাস’ কটেজ ও ভুতবিলাস কটেজ।
৬। কাদামাটি ও টিন দিয়ে তৈরি করা শুটিং স্টুডিও।
৭। ঔষধি গাছের বাগান।
৮। মৎস্যকন্যার মূর্তিসহ একটি পানির রিজার্ভার। এটির পাশে একটি রাক্ষসের মূর্তিও আছে।
৯। কনক্রিট দিয়ে তৈরি ডাইনোসারের মূর্তি।
১০ প্রাচীন আদলে নির্মিত কিন্তু আধুনিক ঘাট সমৃদ্ধ দিঘাল দীঘি।
১১। লেকের মাঝে বসার জন্য একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে।
১২। এছাড়াও রয়েছে শালবন, অর্কিড বাগান সহ এখানকার তিনটি বাংলো।
এছাড়া এখানে খেজুর গাছ এবং চা গাছ লাগানো হয়েছে, যা এখনও আছে।
নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার বুলবুল নয়জনের একটি দল নিয়ে এখানকার সবকিছু দেখাশোনা করেন।
প্রবেশ মূল্যঃ
আপনি নুহাশ পল্লীতে সূর্যাস্তের পর অবস্থান করতে পারবেন না। এপ্রিল থেকে নভেম্বর দর্শনার্থীদের জন্য নুহাশ পল্লী উন্মুক্ত থাকে। ১২ বছরের বেশি প্রত্যেককে ২০০/- টাকা প্রবেশ মূল্য দিতে হবে।
খাবারাঃ
শুক্র ও শনিবার ছাড়া নুহাশ পল্লীতে শুধু খাবার এর বেবস্থা থাকে। খাবার মেনুঃ ভাত, ডাল, মুরগির রেজালা ১ পিস (৪:১ হিসেবে), আলুর ভর্তা, পেপে ভর্তা, শুঁটকির ভর্তা, ছোট মাছ ভুনা। এই প্যাকেজ এর মূল্য ২০০/- টাকা।
এছাড়া পূর্বে যোগাযোগ করে অর্ডার এর ভিত্তিতে সপ্তাহের যে কোনো দিন এই খাবার এর বেবস্থা করা যায়।
এমনিতে নুহাশ পল্লীর অভ্যন্তরে খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তাই আপনাকে সাথে করে খাবার নিয়ে যেতে হবে। এছাড়া নুহাশ পল্লীর অভ্যন্তরে আপনি রান্নাও করতে পারেন।
কিভাবে যাবেনঃ
গুলিস্তান থেকে প্রভাতী-বনশ্রী অথবা ঢাকা-ময়মনসিংহ বাসে হোতাপাড়া বাজারে নেমে সেখান থেকে ছোট টেম্পুতে করে পৌঁছে যেতে পারবেন নুহাশ পল্লীতে।
ঢাকা থেকে বাসে করে গাজীপুরের হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে পৌছাতে পারবেন। ঢাকা থেকে শ্রীপুর, মাওনা, কাপাসিয়া এবং হোতাপুরের উদ্দেশ্যে প্রভাতি- বনশ্রীসহ অথবা ঢাকা-ময়মনসিংহ বেশকিছু বাসচলাচল করে। বাসে যেতে খরচ হবে ৫০/- টাকা থেকে ৭০/- টাকা।
হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত নুহাশপল্লীতে টেম্পো, রিকশাভ্যান, অথবা বেবিট্যাক্সিতে পৌছাতে পারবেন। টেম্পোতে উঠলে ভাড়া দিতে হবে ৩০/- টাকা। এছাড়া রিকশা এবং টেম্পু অথবা সিএনজি খরচ হবে যথাক্রমে ৫০/- টাকা থেকে ৬০/- টাকা এবং ১০০/- টাকা থেকে ১২০/- টাকা।
এছাড়া নিজস্ব গাড়িতে করে নুহাশ পল্লীতে যেতে পারেন। নুহাশ পল্লীর ভিতের প্রাইভেট কার ও মাইক্রো পারকিং সম্পূর্ণ ফ্রীতে রাখা যায়। এর জন্য অতিরিক্ত কোন চার্জ নেই।
নুহাশ পল্লীতে মাত্র একদিনের জন্য পিকনিক করার ব্যবস্থা রয়েছে। এজন্য কটেজের ৪ টি কক্ষ বরাদ্দ করা আছে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস এখানে পিকনিক করা যায়। পিকনিকের জন্য একটি দলে সর্বচ্চ ৩০০ জন থাকতে পারবে। বন্ধের দিনে এখানে পিকনিক করতে ভাড়া দিতে হবে ৬০/- হাজার টাকা তবে সপ্তাহের অন্যান্য দিনে এই ভাড়ার পরিমান ৫০/- হাজার টাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বন্ধের দিন পিকনিক করতে ভাড়া দিতে হবে ৫০/- হাজার টাকা এবং সপ্তাহের অন্যান্য দিন ভাড়া দিতে হবে ৪০/- হাজার টাকা।
যোগাযোগেরঠিকানা
সাইফুল ইসলাম বুলবুল, ব্যবস্থাপক, নুহাশ পল্লী।
মোবাইল: ০১৭১২০৬০৯৭১০১৭৩৮৭০৪০১০
ঢাকা অফিস: পাপন খাঁন, ০১৭২২৪৩৭৮৮৩
রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট রিসোর্ট গাজীপুর
ঢাকার নিকটবর্তী গাজীপুরে অবস্থিত আরেকটি রিসোর্ট কেন্দ্র রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট এখানে আছে বনভোজনের কেন্দ্র ও ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা এবং অবকাশ যাপনের ব্যবস্থা আপনার ক্লান্তিময় মুহূর্তগুলোকে অনেক আনন্দমুখর করে গড়ে তুলবে এই রিসোর্টটি| তাই সেখানে বুকিংয়ের জন্য পূর্বে যোগাযোগ করতে পারেন 01 814 140 74 অথবা 01919 318 2019 ।
উৎসব পিকনিক স্পট গাজীপুর
ক্লান্তিময় মুহূর্তগুলোকে নিবারন ঘটাতে আপনি বেছে নিতে পারেন এই উৎসব পিকনিক স্পটর্টি,
কোথায় অবস্থিত উৎসব পিকনিক স্পট? কিভাবে যাবেন সেখানে? এটি ঢাকা শহরের নিকটবর্তী গাজীপুরে ঢাকা থেকে 50 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত|
ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের হোতাপাড়ার কাছেই বনোভজন কেন্দ্রটি অবস্থিত। উৎসবমুখর পিকনিক স্পটটিতে রয়েছে খোলামেলা চত্বর ও আড্ডাখানা ।
ঢাকা ফুলবাড়িয়া থেকে শ্রাবণ পরিবহনে এসে নামতে হবে হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে, ভাড়া 35 টাকা সেখান থেকে রিক্সায় 10 টাকামত ভাড়া উৎসব পিকনিক স্পট পর্যন্ত যেতে ।
বিস্তারিত জানতে আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন :০১৭১৩০৪৪৫৯১, ৮৬২৬৩৭৬
পুষ্পদাম পিকনিক স্পট গাজীপুর
ঢাকা শহরের নিকটবর্তী আরেকটি নিরিবিলি পিকনিক স্পট এই পুষ্পদাম পিকনিক স্পট । এটির অবস্থান ঢাকা থেকে 50 কিলোমিটার দূরে গাজীপুর জেলার বাঘের বাজার এ অবস্থিত এখানে রয়েছে বিশাল পরিসরের দেশি বিদেশি গাছের সমারোহ, প্রবেশ পথেই রয়েছে বিশাল দেবদারু গাছের সারি,
একটু ভিতরে প্রবেশ করলেই রয়েছে, ফুলে ফুলে ফুল বাগানে সাজানো গোছানো এ কটেজটি, এখানে রয়েছে বিশাল খোলামেলা খেলার মাঠ, কৃত্রিম লেক, কৃত্রিম ঝর্ণা, রান্নাঘর রয়েছে টয়লেট ছাড়াও এখানে আছে একটি একই সাথে এক হাজার লোকের খাবার আয়োজনের ব্যবস্থা ।
আপনি আপনার স্কুলের অফিসের পরিবারের যেকোনো ধরনের পিকনিকের জন্য বেছে নিতে পারেন । এই জায়গাটিকে যা পজিশান নিরিবিলি মুহূর্ত কাটাতে অনেকটাই সহায়ক হবে । সেখানে যাবার পূর্বেই যদি চান বুকিং করে নিতে পারেন বুকিং এর জন্য যোগাযোগ:
ফোন: ০১৮১৯২১৬১৫৭, ০১৬২৯-১২১৩১৪, ০১৯৭৫-২৭২৭৩০-৩৬,০১৬১৭-৭৭৭৭৭৮।
ফ্যান্টাসি কিংডম আশুলিয়া
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলাধীন, আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকায় ঢাকা আশুলিয়া মহাসড়ক এর পাশে অবস্থিত এই ফ্যান্টাসটিক কিংডম। ঢাকা জেলা পরিচালিত আশুলিয়া সাভার শহরগুলি অন্তর্ভুক্ত ফ্যান্টাসটিক কিংডম পৌঁছানোর জন্য বর্তমানে অনেকে রাস্তা রয়েছে ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার পথেই চোখে পড়বে এই ফ্যান্টাসি কিংডম।
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম থিম পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম আশুলিয়া জামগড়ায় গড়ে উঠেছে বিশ্বের আধুনিক বিনোদনকেন্দ্র। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে এটি অন্যতম একটি স্থাপনা। যার আদলে তৈরি করা হয়েছে বনভোজন করার জন্য সুযোগ সুবিধা।
ফ্যান্টাসি কিংডমে প্রবেশ এর টিকিট মূল্য:
বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিট মূল্য ৪০০ টাকা এবং ছোট বাচ্চাদের টিকিট মূল্য ৩০০ টাকা এখানে বিভিন্ন ধরনের রাইটস প্যাকেজ রয়েছে | প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৮০০ টাকা এবং বাচ্চাদের জন্য ৬০০ টাকাতাই বুকিং এর জন্য পূর্বে যোগাযোগ করতে পারেন এই নাম্বারটিতে ফোনঃ ৭৭০১৯৪৪-৪৯।
মাওয়া রিসোর্ট
বাংলাদেশের রাজধানী পুরান ঢাকার বিক্রমপুর লৌহজং উপজেলায় গড়ে উঠেছে এই মাওয়া রিসোর্টটি, ঢাকা থেকে মাত্র 38 কিলোমিটার দক্ষিনে মামা ভাগ্যকুল রাস্তার কান্দিপাড়া গ্রামে নির্মিত এই রিসোর্ট।
যেন প্রাকৃতিক নিসর্গের স্বর্গরাজ্য এটি, এটি একটি অন্যরকম পর্যটন কেন্দ্র। এখানে মূল আকর্ষণ হচ্ছে গ্রাম বাংলার দিঘি, এবং রয়েছে দুই দিকে দুটি শান বাঁধানো ঘাট। দিঘির চারপাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ানোর রয়েছে রাস্তা।
রয়েছে আধুনিক বোর্ড দিঘীরপাড় ধরে বাম দিকে এগিয়ে গিয়ে আবার ডানে গেলে হাতের বামে পড়বে একটি ক্যাফেটেরিয়া পর্যটকদের চাহিদামত খাবার খাওয়ার ও শুব্যবস্থা রয়েছে। এ ক্যাফেটেরিয়াতে পুকুরের পূর্ব প্রান্তে পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে সারি সারি বেশ কয়েকটি কটেজ পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে চারটি,
এতে ছাতনা দিয়ে গ্রামে গোল পাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে চাল দিয়ে বানানো গ্রামীণ জীবনের মানুষের বসবাসের বাড়িঘর যারা শহরে বসবাস করেন তাদের কাছে এটি অনেকটাই কল্পনাতিত, আলপনা করা মনে হবে ভেতরে আধুনিক আসবাবপত্র বাথরুম টাইলস।
দেখে মনে হয় এ যেন একটি ফাইভ স্টার হোটেলের মত গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সাজানো-গোছানো হলেও ভিতরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তৈরি করা হয়েছে আধুনিক ভাবেই।
প্রবেশ মূল্য:
দর্শনার্থীদের রিসোর্টে প্রবেশের জন্য প্রতি জনপ্রতি ৩০ টাকা মূল্য পরিশোধ করতে হয়
রিভেরী হলিডে রিসোর্ট
বাংলাদশের রাজধানী ঢাকা শহরের নিকটবতী গাজীপুররে অবস্থিত এই রিভেরী হলিডে রিসোর্ট| ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের গাজীপুরের সালনাতে খুব কাছাকাছি, এটি ঢাকা থেকে মাত্র ১ ঘণ্টা এবং গাজীপুরে গাজীপুররে চৌরাস্তা থেকে ৬কিমি দূরে।
স্পটটি ন্যাশনাল পার্ক, গাজীপুর, ভাওয়াল রাজবাড়ী এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্থানগুলির নিকবর্তি। ৩ একরের এটি কোন পিকনিকের জন্য একটি সুন্দর জায়গা,
কর্পোরেট দিন, সম্মেলন, পরিবার / গ্রুপের দিন, কর্মশালা, তাঁবু, বার-বি-কি পার্টি ইত্যাদি সবধরণের অপুষ্ঠান করা সম্ভব। এ্রটি একটি আধুনিক দ্বৈত বেঙ্গল এখানে আপনার আরামদায়ক এবং বড় সাধারণ রুম, ডাইনিং সুবিধা, আরামদায়ক কক্ষ এবং বিস্তৃত পোড়ামাটির সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন।
ফিশিং, পিকনিক, কর্পোরেট ডে আউট, ইভেন্ট, ফ্যামিলি ট্যুর, গ্রুপ ট্যুর, তাবুতে থাকা, বার বি কিউ পার্টি সবকিছুর জন্যই পারফেক্ট রিসোর্ট এটি। ছুটির দিনগুলোতে পিকনিক পার্টির অনেক ভিড়।
খোলা দিনগুলোতে গেলে বেশি মজা পাবেন। রিভেরিতে ফ্যামিলি রুম ভাড়া ৬০০০ টাকা, ডাবল রুম ৩৫০০ টাকা। গ্রুপ ট্যুরের জন্য ডে ট্যুর খাওয়া সহ ১০০০/১২০০/১৪০০ টাকার বিভিন্ন প্যাকেজ আছে। তাদের ফোনে যোগাযোগ করে নিজের মতো করে কোটেশন ও নিতে পারবেন।
বুকিং এর জন্য পূর্বে যোগাযোগ ফোন: ০১৭০৫-৫৬৬৩৩৫
ভাওয়াল রিসোর্ট এন্ড স্পা, গাজীপুর
বাংলাদশের রাজধানী ঢাকা শহরের নিকটবতী গাজীপুররে অবস্থিত এই ভাওয়াল রিসোর্ট | গাজীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামীণ পরিবেশে সবুজের মাঝে অবস্থিত ভাওয়াল রিসোর্ট রিসোর্ট। রিসোর্টটি গাজীপুর জেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের নলজানি গ্রামে অবস্থিত।
প্রায় ৬৫ একর জায়গার উপর অবস্থিত এই রিসোর্টটিতে রয়েছে ৫ টি জোন ও ৬১ টি কটেজ। এখানে ৩ ধরণের রুম রয়েছে। ওয়ান বেডরুম ভিলা, ওয়ান বেডরুম সুইট, টু বেডরুম সুইট এ প্রতি রাত হিসেবে যথাক্রমে ১২,০০০; ১৬,০০০ এবং ২৪,০০০ টাকা খরচ পড়বে।
প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা নীরব এবং কোলাহল বিহীন ছায়াঘেরা এই রিসোর্টটিতে মিলবে মানুষিক প্রশান্তি। এখানে রাত্রি নেমে এলে ক্রমে ঝি ঝি পোকার ডাকে মোহাচ্ছন্ন এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সুনসান নিস্তব্ধ চারপাশ উঁচু উঁচু গাছ পালা দিয়ে ঘেরাও। রয়েছে বিশাল এক সুইমিং পুল।
খরচ:
এখানে ৩ ধরণের রুম রয়েছে। ওয়ান ব্যাডরুম ভিলা, ওয়ান ব্যাডরুম স্যুইট, টু ব্যাডরুম স্যুইট এ প্রতি রাত হিসেবে যথাক্রমে ১২,০০০; ১৬,০০০ এবং ২৪,০০০ টাকা খরচ পড়বে।
বুকিং এর জন্য পূর্বে যোগাযোগ ফোন: ০১৮৭১-০০৪০০৭
নন্দন পার্ক
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের সাভারে অবস্থিত এই নন্দন পার্ক |বিনোদনের জন্য খুবই আনন্দমুখর এতে রয়েছে আন্ডারওয়ার্ল্ড এবং বিভিন্ন রাইটস যা পরিবারের সাথে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে বা পিকনিকের বা কলেজ অথবা অফিসের যেকোনো অফিশিয়াল পিকনিকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি |
ঢাকা শহর থেকে 40 কিলোমিটার দূরে সাভারে এটি অবস্থিত আপনার প্রেমময় লোকদের সাথে ভালো সময় অতিবাহিত করতে চাইলে চলে যেতে পারেন এই পার্কটিতে নন্দন পার্ক ওয়াটার পার্ক হিসেবে বলা যেতে পারে, এবং বেশিরভাগ রাইটস রয়েছে অত্যাধুনিক নতুনত্ব |
এখানে প্রতিটি রাইটস আলাদা আলাদা ভাবে কিনতে হয় অথবা একসাথে ও প্যাকেজ ক্রয় করতে পারেন | তাই আপনি আপনার পরিবারের সাথে বা নিজস্ব বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় অতিবাহিত করার জন্য অ্যাডভান্স বুকিং করতে পারেন যোগাযোগের
প্রবেশ মূল্য প্রবেশের:
বিভিন্ন রকমের প্যাকেজে রয়েছে
পার্কে প্রবেশের প্রবেশসহ 2 রাইটস এর মূল্য – 2৯৫ টাকা,
এবং প্রবেশসহ ১০ র্টি রাইটস এর মূল্য – ৪2৫ টাকা,
ওয়ার্টার ওয়ার্ল্ড এর টিকিটের মূল্য ৫৫০ টাকা,
এছাড়া আরও বেশকিছু ফ্যামিলি প্যাকেজ চালু আছে নন্দন পার্কের প্যাকেজ, বিস্তারিত জানতে আমাদের পরবর্তী পোস্ট দেখুন, পার্কে ঢুকে নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে উপভোগ করতে পারেন, নন্দন পার্কের টিকেটের মূল্য 20 টাকা থেকে 60 টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নন্দন পার্কে বিভিন্ন ধরনের ছাড় দেয়া হয় |
জন্য ফোন নাম্বার: 01755-667703 or 017 15646 606